শুক্রবারের ভয়াবহ ধূলিঝড়ে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরে যাত্রীদের হুড়োহুড়িতে তৈরি হয় ভয়াবহ পরিস্থিতি। অল্পের জন্য পায়ের নিচে চাপা পড়া থেকে রক্ষা পায় হাজার হাজার যাত্রী। শনিবার পর্যন্ত ২০৫টি ফ্লাইট ধূলিঝড়ের কারণে বিলম্বিত হয়েছে। গতিপথ পরিবর্তন করা হয়েছে আরও অর্ধশত ফ্লাইটের। গেলো ৩ দিনের বৈরী আবহাওয়ায় ভারতে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ১০২জন। এছাড়াও প্রতিবেশী নেপালে ৮ জনের প্রাণহানির তথ্য মিলেছে।
শুক্রবার দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অবস্থা ছিল এমন। ভয়াবহ ধূলিঝড়ে বিমান চলাচল স্থগিত হওয়ায় তৃতীয় টার্মিনালে আটকে পড়েন কয়েক হাজার যাত্রী। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় এসময় তৈরি হয় পায়ে চাপা পড়ার মতো পরিস্থিতি।
ধূলিঝড়ের কারণে শনিবার পর্যন্ত বিলম্বিত কয়েকশ ফ্লাইট। আরও অর্ধশতাধিক ফ্লাইটের গতিপথ পরিবর্তন করা হয়েছে। এদিনের বৈরী আবহাওয়ায় থমকে পড়ে জনজীবন। দিল্লিতে নির্মাণাধীন ভবন ও গাছ চাপায় প্রাণ হারান কয়েকজন। খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হন বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দা।
গেলো ৩ দিন ধরেই বজ্র ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত দেখা গেছে ভারতের বিভিন্ন অংশে। এসময় প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ। হতাহত প্রতিটি পরিবারকে ৪ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছে বিহার ও উত্তর প্রদেশ সরকার।
ভগবানের ঘরে মানুষ আশ্রয়ের জন্য গিয়েছিলো। কিন্তু ভগবান তাদের ওপর নির্দয় ছিল। ঝড়ে মন্দির ধসে ৬ জন মারা গিয়েছে।
নালন্দার ডিসট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট শশাঙ্ক শুভঙ্কর বলেন, ‘কমপক্ষে ২২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এদের মধ্যে ২১ জন বজ্র ঝড়ের কারণে গাছ ও দেয়াল চাপার শিকার। বাকি একজন ব্যক্তি বজ্রপাতের কারণে মারা গেছেন।’
ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য বলছে, দেশের পূর্ব, উত্তরপূর্ব, উত্তর পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে বজ্র ঝড় অব্যাহত থাকবে আরও কয়েকদিন। শিলাবৃষ্টির দেখা মিলবে জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও পাঞ্জাবে।
এছাড়াও বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও অরুণাচল প্রদেশে ভারি বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে। আরব সাগরে সৃষ্ট ভারী আর্দ্র বায়ুর কারণে বৈরী হচ্ছে আবহাওয়া। এতে একই পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী নেপালেও প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকজন।